আসসালামু আলাইকুম,
গত ১/০৫/২k১৭ থেকে ১৩/০৫/২k১৭। কোলকাতা ১রাত , আগ্রা ২ রাত,দিল্লি, মানালী ৩রাত এবং কোলকাতা ১ রাত । খরচ পার পারসন ৯,৫৭৬k । মোট ১২ দিন -১১রাত।(৫জন ছিলাম তাই খরচ কম হয়েছে)
বাংলাদেশ থেকে ১৭,০০০ টাকা নিয়ে যাই পড়ে কোলকাতা বর্ডার থেকে পুরোটাই রুপি করি।যা বর্ডারে রেট ছিলো ১৭,০০০(BD)×0.৮০২০= ১৩,৬৩৪ (ইন্ডিয়ান) রুপি। বাকী ৪ জন ডলার নিয়েছে কিন্তু আমি টাকা নি্যেছি তাই টাকার রেট দিলাম। যাই হোক আমি আমার কথা বলি আমি উল্টা এই খরচ থেকে (BD) ৭০০ টাকা নিয়ে আসি।আর পুরোটাই বাই রোড ছিলো।(বাস+ট্রেন)।
লিখাটা একটু বড় কিন্তু পুরোটা পড়লে আপনারাও চলে যাবেন সেই স্বপ্নের মানালী তে। এবং যারা এই জাগায় ট্যুরে যাবেন তাদের জন্য অনেক হেল্প হবে টাকাও সেভ হবে। আর কোন এজেন্ড বা কোন দালাল ধরতে হবে না একা একাই ঘুরতে পারবেন।
১ম দিনঃ ঢাকা থেকে যশোর(বেনাপল বর্ডার) এর টিকেট নিলাম রয়েল কোচ নন এসি ৫৫০/= করে মোট ৫টা। সময় ছিলো রাত 9:30 pm,তারিখ ১/০৫/২০১৭। টিকেট কেটেছিলাম ফকিরাপুল বাজার থেকে কিন্তু আমরা উঠি আরামবাগ পুলিশ বক্স থেকে। পথে আমাদের কোন খাওয়া খরচ হয় নাই কারন আমাদের গ্রুপের Hossain Anowar ভাই নিজেই রান্না করে আনে রুটি+মাংস+নুডুলস তাই খাই।
দিন শেষে খরচ= (৫৫০×৫)=২৭,৫০টাকা।
২য় দিনঃ ঠিক সকাল ৮am টায় আমরা যাই বেনাপোল বর্ডারে। বর্ডারের কাস্টমস পার করলাম মাত্র ১ ঘ্ন্টায় কারন ৫ জন ৫০০ টাকা দিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে বর্ডার পার হয়ে যাই। এরপর বর্ডারেই টাকা ভাঙ্গাই যা উপরে দেয়া আছে হিসাব। এরপর ৫জন এর হিসার এইখান থেকেই শুরু।
আমাদের ফুল খরচ এর হিসার আমাদের শ্রদ্ধেয় Kamrul Hasan ভাই এর কাছে তুলে দেই আর পথ প্রদর্শক করেন বড় ভাই S M Ebnul Hasan সাথে আমিও হেল্প করেছি। যাইহোক বর্ডার থেকে বেবি-টেক্সি করে জন প্রতি ৩০ রূপি করে চলে আসলাম বনগাঁ রেল ষ্টেশনে। ষ্টেশন থেকে ২০ রূপি করে টিকেট কাটলাম বনগাঁ থেকে শিয়ালদাহ রেল স্টেশন।সব মিলিয়ে আমরা ঠিক ১pm এর মধ্যে কোলকাতায় চলে যাই। শিয়ালদাহ থেকে টেক্সি নিলাম ফেয়ারলি প্লেসে ভাড়া ২৫০ রুপি ৫জন। ফেয়ারলি প্লেস হচ্ছে ফরেন কোটা যা আপনি ইন্ডিয়ার যে কোন জাগায় রেল টিকেট পাওয়া যাবে। সেখানে গিয়ে খবর নিলাম শিমলা কালকা রেল টিকেট পাওয়া যাবে কি না কিন্তু সেই দিন আর টিকেট কাটতে পারি নাই। তখন আমরা ক্ষুধায় কাতর ছিলাম একটুও শরীরে শক্তি ছিলো না। এরপর একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম খাবার অর্ডার দিলাম ৫জন প্রায় ৫০০রুপি বিল দিলাম। যাক খাবার এর মান কেমন সেই কথা না বলি। এরপর লোকাল ২০৫নং বাসে ৮রুপি করে নিউ মাকের্ট চলে আসলাম। নিউ মাকের্ট এর পিছেই হোটেল বিমান এ গেলাম আর দেখলাম কোন রুম ফাঁকা নেই শুধু হোটেল বিমানেই না অন্য কোন হোটেলও ফাঁকা ছিলো না কারন কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে আইপিএল খেলা ছিলো তাই এই দূরদশা। ৫০০ টাকার হোটেল পরে বাধ্য হয়ে ১৫০০ রুপিতে রুম নিলাম ৫জন ১রুমে হোটেল বিমানেই। হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে ঘুরাঘুরি করলাম নিউ মাকের্টের আশেপাশে। উপরি কোন খরচ ছিলো না। রাত্রের ডিনার বিল ৫৭০ রুপি করে। হোটেল এ চলে আসলাম অতপর ঘুমিয়ে পড়লাম।
দিন শেষে খরচ= (৫০০+১৫০+১০০+২৫০+৫০০+৪০+১৫০০+৫৭০)=৩,৬১০/=রুপি ৫জনের
৩য় দিনঃ খুব ভোরে সময় ৫amটায় টেক্সি নিলাম ভাড়া ৮০রুপি চলে গেলাম সেই ফেয়ারলি প্লেসে কারন সিরিয়াল যত আগে থাকবে তত আগে ট্রেনের টিকেট পাবো। এই হল অভিজ্ঞতা শুরু। যাই হোক এত সকাল এ গিয়ে দেখি ২নং সিরিয়াল এর নাম লিখলাম। কিন্তু ঠিক ৩০ মিনিট পর পিছে তাকিয়ে দেখি কম হলেও ৮০ জন সিরিয়ালে নাম এন্ট্রি করে ফেলেছে তখন নিজেদেরকে মনে হল খুব ভাজ্ঞমান। কারন যা বুজলাম ১থেকে ১০ জনই খুব সহজেই পাবে ইন্ডিয়ার যেকোনো রুটের ট্রেন টিকেট। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর অফিস ওপেন করলো ঠিক ৯,৩০am এর আগেই সকালের নাস্তা সেরে নেই ৭৫ রুপি দিয়ে ৫জন সাথে আম খেলাম ৭০রুপি দিয়ে।পরে ২নং সিরিয়ালে গিয়ে টিকেট কাটলাম হাওড়া টু আগ্রা । এই খানেই আমাদের রুট প্লান চেঞ্জ হয়ে গেলো কারন হাওড়া টু শিমলা টিকেট ছিলো না দিল্লিও ছিলো না তাই আমাদের বাদ্ধ হয়ে আগ্রা পযন্ত টিকেট কাটতে হয় ১জন ৫৬৫ করে। (৫৬৫×৫)=২,৮২৫/= রুপি নন এসি (স্লিপার ক্লাস)ট্রেনের নাম জৈতপুর এক্সপ্রেস সময় রাত ১১:৩০pm। এরপর আমরা সোজা হোটেলে চলে আসি কারন ১১:৫৯am চেক আউট তাই টাইম এর আগেই ফ্রেশ হয়ে গোসল করে বের হয়ে লাঞ্চ করে নিলাম নিউ মাকের্ট ফায়ার সাভির্সের সাথেই প্রিন্স খাবার হোটেল ৫জন ৪৫০ রুপি ভাত+আলু ভর্তা+টোমেটু ভর্তা+ডাল। এরপর টেক্সি নিলাম ৫জন হাওড়া ষ্টেশনে ২০০রুপি চলে আসলাম হাওড়া ষ্টেশনে। সাথে ব্যাগ থাকায় সোজা চলে গেলাম স্টেশন লকার রুমে যেখানে আমাদের সবার ব্যাগ রাখলাম ১০৮ রুপি দিয়ে। তখন সময় ছিলো ঠিক বিকেল ৪টা। ট্রেনের সময় ছিলো রাত ১১:৩০pm তাই বাকী সময় আমরা ফ্রী ছিলাম।তাই আমাদের মধ্যে ২জন বাহুবলী২ দেখার খুব আগ্রহী ছিলো তাই ওরা টেক্সি নিয়ে চলে যায় সিনেমা হলে কিন্তু আমাদের বাহুবলী২ দেখার ইচ্ছা ছিলো না তাই আমরা স্টেশনেই ছিলাম। আমরা আশেপাশেই ছিলাম যেমন হাওড়া ব্রিজ ঘুরে দেখি। এতই ভালো লাগছিলো হাওড়া ব্রিজ যে কখন সময় চলে গেলো টেরও পাই নাই।পরে ডিনার সেরে নিলাম অল্প কিছু (লাচ্ছি+পানি+বিস্কিট)=৩৩৫রুপি এবং রাতে ট্রেনে উঠার সময় সাথে নিয়ে নিলাম (ফল+পানি ৫লিটার+রুটি)=২৯০রুপি। ঠিক ১১:৩০pm ট্রেন ছেড়ে দিলো।
দিন শেষে খরচ=(৮০+৭৫+৭০+২,৮২৫+৪৫০+২০০+১০৮+৩৩৫+২৯০)=৪,৪৩৩/= রুপি(৫জনের)
৪র্থ দিনঃ এইখানে আর কিছু বলার নাই কারন রাত+সকাল+দুপুর+রাত ট্রেনে ছিলাম খাবার সাথে যা নিয়া উঠেছিলাম তাই খেয়েছি। ট্রেন পৌছানোর কথা ছিলো সন্ধ্যা ৭:৩০pm কিন্তু ট্রেন পৌছায় দীর্ঘ ২৫ ঘণ্টার পর রাত ১am আগ্রায় তো বুঝতেই পারছেন আমাদের অবস্থাটা কি!!! এরপর ট্রেন থেকে নামতেই একদল দালাল হাজির। সেই রাত আমাদের উপর সেই দালালরা এক প্রকার জুলুম/অত্যাচার যাই বলেন তাই করল। একটু বিবরণ দেই যেমন ট্রেন থেকে নেমেই দেখি একদল দালাল যারা আমাদের হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করছে কারন তাদের দেয়া হোটেলে থাকতে হবে আমাদের না হলে আমাদের আগ্রায় ডুকতে দিবে না বিষয় টা আমরাও বুঝতে পারছিলাম না কি করব। স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর সেই দালাল এর মধ্য একজন বয়স আনুমানিক ৫০/৬০ হবে সে আমাদের তার মুখে যা আসলো উল্টা পাল্টা কথা বলল। আমরা নিতান্তই চুপ ছিলাম কিন্তু আমরাও নাছরবান্দা যাবোনা তার সাথে দরকার হলে আজ রাতেই বাংলাদেশ ফিরবো এমনটাই মনে করছিলাম সবাই। পড়ে আমাদের সেই দালাল চক্র আমাদের বলল আমরা কোন হোটেলে যাব কিন্তু আমাদের হোটেল এর নাম জানা ছিলো না। এরজন্য দালালরা আমাদের যেতে দিচ্ছিলো না। পড়ে আমাদের মধ্যে S M Ebnul Hasan ফোন করল তার এক বড়ভাই এর কাছে সে বাংলাদেশ এ ছিলো তখন সে আমাদের আগ্রার এক হোটেলের নাম দিলো হোটেল শীদার্থ। তখন দালালদের হোটেল এর নাম বলার পড়ও আমাদের যেতে দিচ্ছিলো না কারন তাদের সাথেই যেতে হবে আর আমরা তার সাথে যেতে চাচ্ছিলাম না তখন অনেক রাত ছিলো আর মনে ভয় ছিলো। যাইহোক অবশেষে সেই বুড়োর হাত থেকে বেঁচে গেলাম কারন এক অটো আমাদের নিয়ে নিলো আর আমরা চলে গেলাম হোটেল শীদার্থতে। অনেক অবাক হলাম যে হোটেল শীদার্থ ঠিক এর ২টা হোটেল এর পর আগ্রার সেই তাজমহল। এরপর হোটেলে উঠলাম ৭০০ করে ২টা রুমে। তখন ব্রহস্পতিবার রাত ছিলো কিন্তু শুক্রুবার তাজমহল অফ থাকে যা আমরা জানতাম না পড়ে আরো একরাত বেশি থাকলাম মানে ২রাত (৭০০×৪)=২,৮০০রুপি। রাতের খাবার খেয়ে নিলাম ৪৮০রুপি। আগ্রা স্টেশন থেকে হোটেল শীদার্থ অটো ভাড়া ১৫০ ছিলো পড়ে আরো ১০০ বেশি দিয়েছি মোট ২৫০রুপি।
দিন শেষে খরচ=(অগ্রীম রুম ভাড়া ২,৮০০+৪৮০+২৫০)=৩,৫৩০রুপি (৫জনের)।
৫ম দিনঃ শুক্রুবার যেহেতু তাজমহল অফ ছিলো তাই আমরা আগ্রাফোর্টে চলে গেলাম এর আগে নাস্তা করে নিলাম ১৫০রুপি।এরপর অটো নি্যে সোজা চলে গেলাম আগ্রাফোর্টে অটো ভাড়া যাওয়া এবং আসা ১০০রুপি। আগ্রাফোর্টের টিকেট দাম ছিলো ৫৩০রূপি করে ফরেনাদের জন্য। কিন্তু আমি সার্ক কান্ট্রি বলি এতে টিকেট এর দাম আমাদের জন্য হয়ে যায় মাত্র ৩০ রুপি করে.৫জন (৩০×৫)=১৫০রুপি। আগেই বলেনেই আমরা পাসপোর্ট দেখাই এরপর আমাদের টিকেট দেয়, আর চেকিং এর সময়ও পাসপোর্ট দেখাই এরপর ডুকতে দেয়। সারাদিন আগ্রাফোর্টেই ছিলাম।দুপুরে বের হয়ে লাঞ্চ করলাম ৫জন ৪৮০রুপি। এরপর হোটেলে চলে আসলাম কারন তাপমাত্রা ছিলো ৪৫’ডিগ্রী সেলসিয়াস। হোটেলে এসে বিকালে কফি নিলাম ৫জন ১০০রুপি।এরপর হোটেলেই ছিলাম আর বাইর হয়নি। একদম রাতের খাবার খেয়ে নিলাম KFC + যাওয়া এবং আসা মোট ১,২০০রুপি।৫জনের
দিন শেষে খরচ=(১৫০+১০০+১৫০+৪৮০+১০০+১২০০)=২,১৮০রুপি। 👌
৬ষ্ঠ দিনঃ শনিবার সকাল ৬am তাজমহল এর উদ্দেশে চলে যাই হোটেল থেকে ১মিনিট এর রাস্তা ছিলো।তাজমহল এর টিকেট নিলাম ৫টা ৫৩০ করে সাথে দিয়েছে ৫০০ml এর পানি আর পা মুজা(৫৩০×৫)=২,৬৫০রুপি। ঠিক ৯am আমরা তাজমহল পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাই এবং নাস্তা করি ৫জন ২৪০রুপি। এরপর হোটেলে ফিরে গোসল করে রুম চেক আউট করে চলে গেলাম আগ্রা বাস স্টেশনে ভাড়া ৫০রুপি। সেখানে গিয়ে আগ্রা টু দিল্লি এসি বাস টিকেট কাটলাম ২,৫০০রুপি ৫জনের। বাস ছাড়ার সময় ছিলো বেলা ১২pmটায় ঠিক ৩pm টায় পৌঁছে যাই নিউ দিল্লির বাস স্টেশনে। তাপমাত্রা ছিলো সেই আগ্রার মতোই ৪৪/৪৫’ডিগ্রী সেলসিয়াস। নিউ দিল্লির কাশ্মীরি বাস স্টেশন থেকেই হিমাচল প্রদেশ এর শিমলা আর মানালির বাস ছাড়ে তাই আমরা কথা বলে জানতে পারলাম শিমলা থেকে কোলকাতা যাওয়ার কোন ট্রেন এর টিকেট পাওয়া যাবে না তাই আমাদের মধ্যে ৩জন চলে গেলো নিউ দিল্লির ট্রেন ষ্টেশনে দিল্লি টু কোলকাতার টিকেট কাটার জন্য আর আমরা ২জন বাস ষ্টেশনে থাকি কারন তখন সিদ্ধান্ত হল আমরা শিমলা যাব না সরাসরি মানালীতে চলে যাব আর মানালী এর বাস ১ ঘন্টা পর পর বাস ছাড়ে আর টিকেট দিবে ঠিক বাস ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে তাই আমরা ২জন বাস ষ্টেশনেই বসে ছিলাম। মাঝখানে আরো কিছু বাদ পড়ে গেছে যা হলো আগ্রা টু দিল্লির বাস আমাদের কাশ্মিরি গেট থেকে একটু আগে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে অটো ভাড়া করি কাশ্মিরি বাস স্টেন পযন্ত ১৮০রুপি। সকালের নাস্তা ২৪০ রুপি,দুপুরের খাবার ৩৪০রুপি, বিকালের নাস্তা ১৫০রুপি। এরপর মানালী যাওয়ার টিকেট কাটি ননএসি ১জন ৬৮৫। ৫জনের(৬৮৫×৫)=৩,৪২৫রুপি। মানালীর বাস ছাড়ার সময় ৫:৪৫pm। এর আগে বলেছিলাম আমাদের মধ্যে ৩জন চলে গেলো নিউ দিল্লির ট্রেন ষ্টেশনে দিল্লি টু কোলকাতার টিকেট কাটার জন্য তো খবর আসলো দিল্লি থেকে কোলকাতার ১০ তারিখ এ কোন সিট খালি নেই কিন্তু ১১ তারিখ এ সিট আছে তাই ১১তারিখেই টিকেট কাটা হল। ট্রেনের নাম পূর্বা এক্সপ্রেস, তারিখ ১১/০৫/২০১৭, সময় সন্ধ্যা ৭:৩০pm।যাই হোক টিকেট কাটা হল ৬৩০ করে (৬৩০×৫)=৩,১৫০রুপি। অতপর মানালীর উদ্দেশে রওনা দিলাম আর মাঝ পথেই অল্প কিছু খেয়েছিলাম। রাত্রিযাপন বাসেই।
দিন শেষে খরচ=(২,৬৫০+২৪০+৫০+২৫০০+১৮০+২৪০+৩৪০+১৫০+৩,৪২৫+৩,১৫০)=১২,৯২৫রুপি ৫জনের।✌
৭ম দিনঃ দীর্ঘ ১৬ঘণ্টার পর আমরা মানালী বাস স্টেন অর্থাৎ মানালী মলরোডে চলে আসলাম সকাল ১১am টায়। যাওয়ার পথের অনুভূতি গুলা লিখে বুজানো যাবে না। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে রাস্তা। রাস্তার পাশে গীরিখাদ আরো অনেক কিছু। যাইহোক সামনে যাই। মানালীর মল রোড থেকে ২মিনিট দূরে হোটেল বুলবুল এ উঠি। কোন হোটেল আমাদের আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না আমরা স্পোর্টে গিয়ে ঠিক করেছি। হোটেল বুলবুল ১রাত ৫০০ রুপি করে ২টি রুম নিয়েছি ৩রাত এর জন্য ৩,০০০রুপি। সারাদিন সাইটসিন করি সকালের নাস্তা,দুপুরের খাবার,আর রাত্রের খাবার ১০০০রুপি।৫জনের।
দিন শেষে খরচ=(৩,০০০+১০০০)=৪,০০০রুপি। ৫জনের
৮ম দিনঃ এর আগের রাত্রেই খবর পাই রোথাংপাস অফ কারন আমরা যাওয়ার ঠিক ২দিন আগেই ১টা এক্সিডেন্ট হয় যা পরে আমরাও নিজ চোখে দেখে আসি। যাইহোক আগের রাতেই এক এজেন্সির সাথে কথা বলি যে আমাদের সোলাংভ্যালি,গোলাবা আর মাঝ পথে যে স্পট পড়ে তাতে নিয়ে যাবে আর নিয়ে আসবে মোট ৩৩,০০রুপি ৫জনের। ঠিক সকাল ভোরেই ড্রাইভার চলে আসে আর আমাকে কল করে তখন আমরা দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসি। মানালীতে এখন সকালে তাপমাত্রা ১৫/১৮ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে আর রাতে সর্বোচ্চ ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। সো অনেক কুল। যাইহোক হোটেলের নিচেই প্রাইভেট কার ছিলো ড্রাইভার টা অনেক ভালো ছিলো একজন গাইড হিসেবেও আমাদের হেল্প করেছে নাম টা মনে নাই কিন্তু মোবাইল নাম্বার হচ্ছে +৯১৭০১৮৩০৬০৩৬ নাম্বারটা দিলাম তার কারন আমরা যদি এজেন্সির মাধ্যমে না গিয়ে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতাম তাহলে ২৮,০০রুপি হয়ে যেত।তাই যারা মানালীতে যাবেন এই নাম্বারটা নিয়ে যাবেন অনেক সেভ করতে পারবেন আরো। আমাদের মানালীর যাত্রা পরিদর্শন শুরু হয়ে গেলো যাত্রা পথে নাস্তা করে নিলাম ১৫০রুপি। সামনে যেতেই একটা দোকানে প্রাইভেট কার থামালো এবং স্পেশাল গরম কাপড় ভাড়া নিয়ে নিলাম ২৫০রুপি করে ৫জনের ৫টা (২৫০×৫)=১,২৫০রুপি সাথে ছিলো জুতা। এক ঘন্টা পর আমরা গোলাবা পৌছাই সেখান থেকে আরও ২ঘন্টার মত পাহাড় ট্র্যাকিং করে পৌঁছে যাই বরফের রাজ্যে সেখানে গিয়ে বরফে দৌড়া দুরি, লাফ ঝাফ,ধাক্কা ধাক্কি আরো কতকি করেছি সারাদিন বরফের রাজ্যেই শুয়ে ছিলাম এরপর বিকেলে সোলাংফেলি পরিদর্শন করে সন্ধায় হোটেলে ফিরে এলাম। এরপর লাঞ্চ আর রাত্রের খাবার ৭৫০রুপি। ও আরেকটি কথা আমাদের রুম থেকে চারপাশেই ছিলো বরফে ডাকা উঁচু উঁচু পাহাড় সাথে ছিলো কন কনে ঠাণ্ডা।
দিন শেষে খরচ=(৩৩,০০+১৫০+১২৫০+৭৫০)=৫,৪৫০রুপি।৫জনের
৯ম দিনঃ সারাদিন ফ্রী ছিলাম কিছু করার ছিলো না শুধু ঘুরাঘুরি করেছি হড়িম্বা দেবী মন্দির,বিয়াস নদী আরো অনেক কিছু। সকালের নাস্তা+দুপুরের খাবার +রাতের খাবার=১,০০০রুপি।
দিন শেষে খরচ= ১০০০রুপি। ৫জনের
১০ম দিনঃ এইবার আমাদের ফিরার পালা। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে চলে এলাম মানালী বাস ষ্টেশনে টিকেট কাটলাম দুপুর ২:৩০pm মানালী টু দিল্লি ভাড়া ৬৩০ করে নন এসি(৬৩০×৫)=৩,১৫০রুপি। লাঞ্চ করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলাম।
দিন শেষে খরচ=(নাস্তা+লাঞ্ছ ৭৫০+৩,১৫০)=৩,৯০০রুপি। ৫জনের
১১তম দিনঃ আবার দীর্ঘ ১৬ ঘন্টার পর নিউ দিল্লির কাশ্মীরি গেট বাস স্টেন পৌঁছাই বিকেল ৫pmটায়। সেখান থেকে দিল্লি রেল ষ্টেশনে আসি ১৫০রুপি। এরপর রেল ষ্টেশনেই বসে থাকি ষ্টেশনে স্লিপার ক্লাসদের জন্য ওয়েটিং রুম আছে সেখানে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেই। লাঞ্ছ+বিকালের নাস্তা ৪৫০রুপি। এরপর ট্রেনে উঠে বসি আর ঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়ে দেয় সন্ধ্যা ৭:৩০মিনিটে। সাথে নিয়ে নেই (কলা+রুটি+পানি)=২৫০রুপি।
দিন শেষে খরচ=(১৫০+৪৫০+২৫০)=৮৫০রুপি। ৫জনের
১২তম দিনঃ আবারও সেই ২৫ঘন্টা জার্নি করে অবশেষে কোলকাতায় হাওড়া ষ্টেশনে আসি। স্টেশন থেকে টেক্সি নিয়ে ২০০রুপি ভাড়া করে নিউ মাকের্ট এর পিছে ফায়ার সাভির্সে এসে নামি এখনো আইপিএল খেলা ছিলো বলে হোটেলে রুম পাওয়া যাচ্ছিলো না তাই অনেক কষ্টে ৭০০ করে ২টি রুম নেই ১রাত এর জন্য (৭০০×২)=১৪০০রুপি । রাতে খাবার ৭০০ রুপি ৫জনের।
দিন শেষে খরচ=(২০০+১৪০০+৭০০)=২,৩০০রুপি। ৫জনের
১৩তম দিনঃ কোলকাতা থেকে বনগাঁও হয়ে বেনাপোল চলে আসি আর অবশেষে দেখতে পাই আমার বাংলাদেশ এর মাটি। মনের মধ্য ক্যামন অনুভূতি হচ্ছিলো তা লিখে বুঝানো যাবে না।
দিন শেষে খরচ=(২০০+২৫০+৫০০)=৯৫০রুপি। ৫জনের
***সর্বমোট আমাদের খরচ হয়েছে ৫জনের ৪৭,৮৭৮ হাজার রুপি। তাহলে আমাদের পার- পারসন(৪৭,৮৭৮ ভাগ ৫)=৯,৫৭৬রুপি।☺☺☺
ভাই লোকাল ট্রেনেতো ৩৬থেকে৩৮ ঘন্টালাগে জানতাম
ReplyDelete