কথা মালা

Sushanta Paul  দাদার কথামালাঃ-

"যাদের পড়তে ভালো লাগে তারা অসুস্থ। কারন যারা সুস্থ কখনোই তাদের পড়তে ভালো লাগবেনা  আর এটাই স্বাভাবিক "

" জীবনে চলতে গেলে সবাইকে দরকার নেই। কিছু  মানুষকে দরকার হয়। সুতরাং কেউ ছেড়ে চলে গেলে তার জন্য আফসোস করে সময় নস্ট করো না "

"স্টুপিড লোকের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকার চেয়ে জ্ঞানী লোকের follower হয়ে থাকা অনেক ভালো "

" মূর্খের সাথে তর্ক করোনা। জ্ঞানী লোকের সাথে তর্ক করো, এমনকি যদি তুমি আগে থেকেই জানো যে  তার সাথে তর্কে তুমি হেরে যাবে, তারপরও তারসঙ্গে তর্ক করো।
কারণ প্রতিদিন শেয়ালের সাথে জেতার চেয়ে সিংহের সাথে একদিন হেরে যাওয়াটা অনেক ভালো "

" আর দশটা মানুষ যে পথে হাটে সে পথে না হেটে তুমি অন্য পথে হাঁটো। আর দশজনের মতো স্বাভাবিকভাবে একই পথে হাটতে গেলে তুমি ওই দশজনের মতো সাধারণই থেকে যাবা, ব্যাতিক্রম কিছু করতে পারবা না "

" সফল হতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ এতদিন যা করেছো এখনও যদি ওই একই কাজ-ই  করো তাহলে আগের অবস্থানেই থেকে যাবা।
কাজেই এতদিন যদি ঘুমিয়ে পার করো তাহলে এখনও ঘুমিয়েই পার করতে হবে। তাই সফল হতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করো "

"কাওকে তোমার জীবনে ততটুকুই প্রাধান্য দাও যতটুকু প্রাধান্য সে তোমাকে দেয়। কারণ যখন তুমি তাকে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিবে তখনই সে তোমাকে অসহায় ভাবতে শুরু করবে এবং করুণার চোখে দেখবে "

" জীবনে পরিবারের লোকজনকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য  দাও। কারন, দিনশেষে তোমার পরিবারের লোকজনকেই কাছে পাবে, অন্য কাউকে না "

" মানুষের সাফল্য গ্রহণ করতে শেখো, অন্যের সাফল্য উপভোগ করতে শেখো।
নয়তো তুমি এরকম সাফল্য কখনোই স্পর্শ করতে পারবা না "

"কেউ তোমাকে কথা শুনিয়ে গেলে তাকে পাল্টা কথা শোনানোর দরকার নেই। তোমার কাজের মাধ্যমে তাকে জবাব দাও "

"কিছু কিছু মানুষ আছে যারা তোমার ভালোদিকগুলো  সহ্য করতে পারেনা। তুমি ভালো কিছু করো, এবং ভালো খবরটা যেভাবেই হোক তাদেরকে জানানোর ব্যাবস্থা করে দাও যাতে করে তারা তোমার ভালো খবরে জ্বলতে থাকে।  অন্তত তাদের জন্য হলেও ভালো কিছু করে দেখাও এবং সফল হও "

"যারা তোমার ভালো কিছুতে প্রশংসা করবেনা, কিন্তু তোমার খারাপ কিছু পেলেই তোমাকে পচাতে শুরু করবে তাদেরকে জাস্ট ব্লক করে দাও। সেটা হোক রিয়েল লাইফ কিংবা ফেসবুক.... "

" কখনো অন্যের সমালোচনা করোনা। কারণ, সমলোচনা করলে তোমার লাভ বা ক্ষতি কোনটাই হবেনা "

"মাঝেমাঝে তুমি নিজেই নিজেকে পচাতে শুরু করো। এতে তোমার খারাপ দিকগুলো কমতে থাকবে। অন্যথায়, অন্যরা তোমাকে পচিয়ে একদম গন্ধ সৃষ্টি করে ফেলবে। তাই তাদেরকে সুযোগ দেবার আগেই তুমি নিজেই নিজেকে পচাও "

"কোন সফল ব্যাক্তির ভালো খারাপ দিক বিবেচনা করতে যেওনা। কারণ তার মতো যোগ্যতা তোমার এখনো হয়নি। আগে তার সমপর্যায়ে যাও তারপর তাকে বিবেচনা করো, তার আগে না "

" তোমার প্রিয় ব্যাক্তিগুলোর সবদিক ঘাটতে যেয়ো না। এতে করে তুমি নিজেই কস্ট পাবে "

" যারা সফল তাদের ভালো দিকগুলোই বিবেচনা করো, কখনোই খারাপ দিকগুলো নয় "

" সবসময় সফল মানুষের ভালো দিকগুলো অনুকরণ করো এবং তোমার চরিত্রে ঐ দিকগুলোর প্রতিফলন ঘটাও "

" দান করতে শেখো। সবসময়ই গ্রহণ করার অভ্যাসটা পরিবর্তন করে  দানশীল হতে চেস্টা করো। এতে সুফল পাবে "

" পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোর মাঝে একটি হচ্ছে ভোর হতে দেখা। আর ভোর দেখতে হলে রাতের ঘুম উপভোগ করা যাবেনা । কাজেই, রাতের ঘুমকে বেশি গুরুত্ব দিলে ভোরের সৌন্দর্যটা কখনোই উপভোগ  পারবা না আর এটাই স্বাভাবিক "

"তুমি সফল কিংবা ব্যর্থ হলে তোমার ফলাফলটা-ই সবাই দেখবে,কেউ তোমার পরিশ্রমটা কখনোই দেখবে না। কাজেই এমনভাবে পরিশ্রম করো যেনো তোমাকে ব্যর্থ হতে না হয় "

"কখনো কোন কাজে অজুহাত দেখাবেনা।  কারণ অজুহাত কোন কাজে আসেনা ।
তুমি যদি সফল হও তখন তোমার অজুহাত দেখানোর কোন প্রয়োজনই হবেনা। আর যদি তুমি ব্যর্থ হও তখন তোমার অজুহাত কেউ শুনবেই না। কাজেই অজুহাত দেখানোর কোন মানেই হয় না "

" রাগ হলে মাটির দিকে তাকিয়ে ১০০,৯৯,৯৮.... এভাবে করে উল্টো দিক থেকে গুনতে শুরু করো, রবীন্দ্র সংগীত শুনো অথবা তোমার জীবনের ভালো মুহূর্তগুলো ভাবতে থাকো। দেখবে মন ভালো হয়ে যাবে "

" মন খারাপ হলে আকাশের দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকো। দেখবে মন ভালো হয়ে যাবে।
আবার,কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকালে মন খারাপও হয়ে যেতে পারে। কারণ, মানুষের মন ভালো এবং খারাপ করে দেবার দুটো ক্ষমতাই আকাশের আছে "

" রাত দিন পরিশ্রম করলেই যে তুমি সফল হবে এমন কোন কথা নেই। তোমাকে পরিশ্রমটা সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে করতে হবে তাহলেই সফলতা তোমার কাছে ধরা দেবে  "

"সফল হবার  শর্টকাট কোন পন্থা নেই। কঠোর পরিশ্রম করে যাও, সফলতা আসবেই "

Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

    ReplyDelete