যে কারণে ইহুদীরা এত বুদ্ধিমান হয়
---------------
ইসরাইলের কয়েকটি হাসপাতালে তিন বছর মধ্যবর্তীকালীন কাজ করার কারনেই বিষয়টি নিয়ে গবেষনা করার চিন্তা আমার মাথায় আসে।
এতে অমত করার কোনই সুযোগ নেই যে, ইহুদীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, সংগীত, জ্ঞান বিজ্ঞানসহ জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে এবং বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে। প্রসাধনী, খাদ্য, অস্ত্র, ফ্যাশন, ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি (হলিউড) ইত্যাদিসহ পৃথিবীর প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এদের দখলে।
দ্বিতীয় বছর আমি যখন ক্যালিফোর্নিয়া
প্রথমেই শুরু করা যাক মহিলাদের গর্ভাবস্থার প্রাক প্রস্তুতি দিয়ে। ইসরাইলে প্রথমেই যে জিনিসটা আমার নজড়ে আসে সেটা হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা সবসময় গান বাজনা এবং পিয়ানো বাজাবে এবং তাদের স্বামীদেরকে নিয়ে গনিতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। গর্ভবতী মহিলারা সবসময় তাদের সাথে গনিতের বই সাথে নিয়ে ঘুরে যেটা দেখে আমি সত্যিকার অর্থেই খুব আশ্চার্যিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি নিজেও কয়েকবার তাদের গনিতের সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিলাম। আমি একবার একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এটা কি তুমি তোমার গর্ভের সন্তানের জন্য করছো? তখন সে উত্তর দিয়েছিলো হ্যাঁ। এটা আমরা করি যাতে শিশু গর্ভে থাকা অবস্থা থেকেই প্রশিক্ষন নিতে পারে এবং পরবর্তীতে জন্মের পর আরো বেশি মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। বাচ্চা প্রসবের আগ পর্যন্ত তারা তাদের এই গানিতিক সমস্যার সমাধান চালিয়ে যায়।
এর পরেই যে জিনিসটি আমি পর্যবেক্ষন করি সেটি হচ্ছে তাদের খাদ্যাভাস। গর্ভবতী মায়েরা আলমন্ড, খেজুর়, আর দুধ খেতে খুব ভালোবাসে। দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে রুটি এবং মাছ(মাথা ছাড়া), আলমন্ড এবং অন্যান্য বাদামযুক্ত সালাদ। তারা বিশ্বাস করে যে মাছ হচ্ছে মস্তিষ্কে পুষ্টি সরবরাহ করে অপর দিকে মাছের মাথা মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের কড লিভার খাওয়া ইহুদী সংস্কৃতির একটি অংশ।
আমি যখন রাতের খাবারের দাওয়াতে অংশ নিতাম তখন দেখতাম তারা সবসময় মাছ খেতে খুব পছন্দ করত এবং মাংশ পরিত্যাগ করত। তাদের বিশ্বাসমতে মাছ এবং মাংস দুটি একসাথে খেলে তা শরীরের কোনো কাজে লাগে না। অপর দিকে সালাদ এবং বাদাম তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকবে, বিশেষ করে আলমন্ড।
তারা যে কোনো প্রধান আহারের আগে ফল খাবে। তারা বিশ্বাস করে যে যদি প্রধান আহারের পরে ফল খাওয়া হয় তবে তা নিদ্রার উদ্রেগ ঘটাবে যা পাঠ গ্রহনের ক্ষেত্রে বাধার কারন হয়ে দাড়াবে।
ইসরাইলে ধুমপান করা নিষিদ্ধ। যদি আপনি তাদের বাসার অতিথি হয়ে থাকেন তবে বাসার ভিতরে ধুমপান করা থেকে বিরত থাকবেন নাহলে তারা খুব বিনিতভাবে তাদের বাসার বাইরে গিয়ে ধুমপান করবার অনুরোধ জানাবে। ইসরাইলী বিশ্ববিদ্যালয়ে
বাচ্চারা কি খাবার খাবে সেটা সবসময় তাদের পিতামাতা ঠিক করে দেয়। প্রথমে ফল খাবে এরপর প্রধান খাবার খাবে। যেমন রুটি মাছ এর পর কড লিভারের তেল খাবে। আমার দেখা মতে প্রত্যেকটি ইহুদী বাচ্চারই সাধারনত তিনটি ভাষার উপর দখল থাকে – হিব্রু, আরবী এবং ইংরেজী। শিশুকাল থেকেই প্রত্যেকটি বাচ্চাকে ভায়োলিন এবং পিয়ানো বাজানোর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
তারা বিশ্বাস করে এতে করে তাদের আইকিউ লেভেল এর বৃদ্ধি ঘটে এবং বাচ্চারা মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠে। জিউস বিজ্ঞানীদের মতে, সঙ্গীতের কম্পন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে। একারনেই ইহুদীদের মাঝে এত মেধাবী মানুষ দেখা যায়।
ক্লাশ এক থেকে ছয় পর্যন্ত তাদেরকে গনিত এবং ব্যাবসা শিক্ষা শিখানো হয়। বিজ্ঞান তাদের এক নম্বর পছন্দের বিষয়। ইহুদি বাচ্চারা কিছু বিশেষ ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে যেমন, দৌড়, ধনুবিদ্যা এবং শুটিং। তারা মনে করে শুটিং এবং ধনুবিদ্যা তাদের মস্তিষ্ক্যকে সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষার উপর বিশেষ জোড় প্রদান করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন জিনিস বানানোর চেষ্টা করে থাকে এর মধ্যে সব ধরনের প্রজেক্ট থাকে। যদিও তাদের বানানো কিছু কিছু জিনিস অনেক হাস্যকর এবং ব্যবহার অযোগ্য লাগতে পারে। কিন্তু সব কিছুতে গুরুত্বের সাথে মনোযোগ দেওয়া হয় বিশেষ করে যদি সেটা হয় যুদ্ধোপকরন, ঔষধ কিংবা যন্ত্রবিজ্ঞান। যে সকল প্রকল্প বা ধারনাগুলো সফলতা পায় সেগুলোকে উচ্চবিদ্যাপিঠগু
বিশ্ববিদ্যালয়ে
আপনারা কি কখনো ইহুদীদের প্রার্থনা করতে দেখেছেন? তারা প্রার্থনা করবার সময় সবসময় তাদের মাথা ঝাঁকায়। তারা বিশ্বাস করে তাদের এই কার্যকলাপ তাদের মস্তিষ্কে আরো অধিক পরিমান অক্সিজেন সরবরাহ করে। ( একই জিনিস ইসলাম ধর্মেও দেখা যায়- তারা নামাজের রাকাতের শেষে সালাম ফিরাবার সময় মাথা ডানে এবং বামে ঘুরায়।)
জাপানিজদের দেখলেও দেখতে পাবেন যে তারা তাদের একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলে মাথা নামিয়ে সম্মান করে এবং এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। আর জাপানীদের মাঝেও অনেক মেধাবী দেখা যায়। জাপানি শুশী(তাজা মাছ) খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার কি মনে হয় মাথা নাড়ানো এবং মাছ খাওয়ার ব্যাপারটা কাকতালীয় কোনো ব্যাপার?
আমেরিকায় ইহুদীদের বানিজ্যিক কেন্দ্র নিউইয়র্কে অবস্থিত যেখান থেকে তাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। যদি কোনো ইহুদী ব্যাক্তির লাভজনক কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে সেই বানিজ্যিক কেন্দ্র হতে সুদবিহীন মূলধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং সেটাকে সফল করতে সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করে থাকে। একই ভাবে জিউস কম্পানিতে যেমন – স্টারবাক্স, লিভাইস,হলিউড, ওরাকল, কোকাকোলা, ডানকিন ডোনাটসহ যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের ফ্রী স্পন্সরশীপ দেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে ডাক্তারী পাস করে যে সকল ছাত্রছাত্রী বের হয় তাদেরকে এই বানিজ্যিক কেন্দ্রের আওতায় নিবন্ধন করে বেসরকারী ভাবে প্র্যাকটিস করতে সুদবিহীন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এখন আমি বুজতে পারছি কেনো নিউইয়র্ক এবং কেলিফোর্নিয়ায়
আমি আগেও বলেছি ধূমপানের কারনে বংশপরম্পরায় বোকা/
এবার একটু ইন্দোনেশিয়া দেশটার দিকে তাঁকান। সেখানে মোটামুটি সবাই ধুমপান করে। এক প্যাকেট সিগেরেটের দাম খুবই সস্তা, মাত্র ইউএসডি ০.৭ সেন্টস। ফলাফল জনসংখ্যার খুব কম সংখ্যক মানুষ মেধাবী! দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে
আমার এই গবেষনায়, আমি ধর্ম এবং জাতি মূল বিষয় বস্তু ছিলো না। কেনো ইহুদীরা এত অহংকারি আর কেনই বা ফেরাউনের সময় থেকে শুরু করে হিটলারের সময় পর্যন্ত এত নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। আমার মতে বিষয়টা রাজনৈতিক এবং টিকে থাকার অদম্য বাসনা।
আমার এই গবেষনার মূল বক্তব্য ছিলো – আমরা কি ইহুদীদের মতন এমন একটা বুদ্ধিমান প্রজন্ম তৈরী করতে পারবো?
উত্তর হ্যাঁ হতে পারে। কিন্তু এর জন্য আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে আমাদের বাচ্চা লালন পালনের পদ্ধতিকে। তাহলেই হয়ত তিন প্রজন্ম পর এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন এবং মানবজাতির কল্যানের জন্য একটি বুদ্ধিমান প্রজন্ম গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন, সে আপনি যেই হয়ে থাকেন না কেনো।
মূল লেখকঃ ড. স্টিফেন কার লিওন।