রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

বৈচিত্র্যময় আরেকটি সুদর্শনীয় স্থান বলা চলেও বলে।।পানির সাথে গাছের সারির অনন্য এক সংমিশ্রণ👌👌অনেকটাই রোমাঞ্চ্যকর প্রকৃতিও বলা চলে👍সব মিলিয়ে দিনটি আপনাদের ভালই কাটবে ইনশাল্লাহ 👍ওয়াচ টাওয়ার থেকে চিত্রটা অসম্ভব সুন্দর😍
বর্ষায় বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে।। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন যেন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে পথ চলতে হয়। তবে বর্ষায় এ বনে চলতে হবে খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর।
বর্ষায় হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুবে থাকা গাছগুলো দেখার অভিজ্ঞতা অপূর্ব😍😍
যেভাবে যেতে হবেঃ
★ঢাকা থেকে ট্রেন অথবা বাসে সিলেট যাবেন।
★সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে গোয়াইনঘাট পৌঁছানো, ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা। ওসমানী এয়ারপোর্ট–শালুটিকর হয়ে যাওয়া এই রাস্তাটা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর।
★এরপর একইভাবে গোয়াইনঘাট থেকে রাতারগুল বিট অফিসে আসবার জন্য ট্রলার ভাড়া করতে হবে, ভাড়া ৮০০ – ১৫০০ টাকার মধ্যে (আসা-যাওয়া) আর সময় লাগে দুই ঘণ্টা।
★বিট অফিসে নেমে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বনে ঢুকতে হবে, এতে মাঝি ঘণ্টাপ্রতি নেবে ২০০-৩০০ টাকা।
বিঃদ্র-
#রাতারগুল যাওয়ার আরো কয়েকটি পদ্ধতিও রয়েছে।তাহার মাঝে এটি একটি,আপনারা অন্য রাস্তাও বেঁছে নিতে পারেন।
#রাতারগুল বা তার আশপাশে খাবারের হোটেল বা থাকার কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই; তাই খাবার গোয়াইনঘাট বা সিলেট থেকে নিয়ে যেতে পারেন।
# আরেকটা বিষয়, নৌকায় করে বেড়ানোর সময় পানিতে হাত না দেয়াই ভালো। জোঁকসহ বিভিন্ন পোকামাকড় তো আছেই, বর্ষায় বিষাক্ত সাপও পানিতে বা গাছে দেখতে পাওয়া যায় । সাঁতার না জানলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখা জরুরি।
# এছাড়া ছাতা, বর্ষাতি কিংবা রোদ টুপিও সঙ্গে নিতে হবে। এখানে বেড়ানোর নৌকাগুলো অনেক ছোট। এক নৌকায় পাঁচজনের বেশি উঠবেন না।
# পলিথিন, বোতল, চিপসের খোসা, বিস্কুটের খোসা ইত্যাদি জিনিস পানিতে ফেলবেন না দয়া করে।
# আমাদের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।
পোস্ট কার্টেসিঃ 
Rifat Faruqe Ove
Poo

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.