স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সেইম হলে বা ভিন্ন হলে কি সমস্যা হবে??
-
অনেকেরই ধারণা এই যে স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সেইন হলে সন্তানের সমস্যা হতে পারে। কিন্তুু বাস্তবে এই ধারণাটি ভুল।
I) স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনের রক্তের গ্রুপ সেইম হলে ও কোন সমস্যা নেই।
ii) স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলে ও সন্তানের সমস্যা হবে না।
---
কিন্তুু স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলেই সমস্যা হবে। এক্ষেত্রে প্রথম সন্তানের রক্তে হালকা জন্ডিস ধরা পড়বে অথবা বাচ্চাটা সুস্থ হবে। ২য় বাচ্চা থেকে লিথাল জিনেন কারণে মৃত হবে। এক্ষেত্রে ২য় বাচ্চাটি নেয়ার পূর্বে ডি এন্টিবডি নিয়ে নিলে বাচ্চাটি অার মারা যাবে না, কিন্তুু বাচ্চার শরীরের সব রক্তে জন্ডিস থাকবে। এক্ষেত্রে, বাচ্চাটার পেটের নাভি থেকে সমস্ত রক্ত বের করে ও নেগেটিভ রক্ত দিতে হয় বাচ্চাটাকে। কেননা, ও নেগেটিভ সার্বজনীন দাতা।
--
গতবছর ই কোরবানি ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ অাগে সিলেট ওসমানীতে ১ টা বাচ্চার জন্ম হয় যার সমস্ত শরীরে জন্ডিস ছিলো। বাচ্চার বাবার রক্তের গ্রুপ ছিলো এ পজেটিভ ( A+ ), মায়ের ছিলো বি নেগেটিভ ( B- ) অার বাচ্চার রক্তের গ্রুপ অাসে বি পজেটিভ ( B+ ), কিন্তুু বাচ্চাটার সমস্ত রক্তেই জন্ডিস ধরা পড়েছিলো। তাই সমস্ত রক্ত বের করে বাচ্চাটাকে ও নেগেটিভ ( O- ) রক্ত দেয়া হয়। ওই সময় ওসমানীর পারভীন ডাক্তারকে প্রশ্ন করেছিলাম, বাচ্চাটাকে তো পজেটিভ গ্রুপের রক্ত ও দেয়া যেতো। তখন উনি বলছেন এইসব ছোট বাচ্চাগুলোর যখন রক্তে জন্ডিস ধরা পড়ে, তখন ও নেগেটিভ ( O- ) রক্তটাই জরুরি অথবা বি নেগেটিভ ( B- ) রক্ত দেয়া উচিত যেহেতু মায়ের রক্তের গ্রুপ ও বি নেগেটিভ (B- ) ।
-
সুতরাং, এরকম সিচুয়েশনে হয় মায়ের রক্তের গ্রুপের সেইম রক্ত অথবা ও নেগেটিভ ( O- ) রক্ত বাচ্চাটাকে দিতে হবে।