দুদক

১১তম বিজেএস প্রিলিমিনারীর জন্য

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪
১। এই আইন ২০০৪ সালের ৫ নং আইন, ধারা রয়েছে ৩৮ টি।
২। "স্পেশাল জজ" অর্থ the Criminal Law Amendment Act, 1958 এর সেকশন ৩ এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ। এই আইনের অধীন ও উহার তফসিলে বর্নিত অপরাধসমূহ কেবলমাত্র স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচারযোগ্য হবে।
৩। ৩ ধারা অনুসারে কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়, ৫ ধারা অনুসারে কমিশন গঠিত হয়।
৪। বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে রাস্ট্রপতি  তিনজন কমিশনার নিয়োগ দেন এবং তাদের মধ্য হতে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন। কমিশনাররা ৫ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
৫। বাছাই কমিটি ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপীল বিভাগের একজন বিচারপতি বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
৬। স্ব স্ব ক্ষেত্রে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি কমিশনার হওয়ার যোগ্য হন। চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হন।
৭। ২০ ধারা অনুসারে এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্ত করবে কেবলমাত্র কমিশন। তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তকালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ক্ষমতা থাকবে।
৮। ক. ২০A ধারা অনুসারে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সম্পন্ন করবে, সম্পন্ন না হলে কমিশন আরো ৬০ দিন সময় বৃদ্ধি করতে পারবে।
খ. উপরোল্লিখিত সময়েও তদন্ত সম্পন্ন না হলে কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য অন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন।
৯। ২৭ ধারা অনুসারে  কোন ব্যক্তি জ্ঞাত  আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তি দখলে রাখলে অনূর্ধ্ব ১০ বছর এবং অনূ্্যন ৩ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং তদুপরি অর্থ দন্ডেও দন্ডনীয় হবেন; এবং উক্তরুপ সম্পত্তিসমূহ বাজেয়াপ্ত যোগ্য হবে।
১০। ৩২ ধারা অনুসারে কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত আদালত কোন অপরাধ বিচারার্থে আমল গ্রহন করবেন না।
১১। এই আইন ২০১৬ সালে সর্বশেষ সংশোধীত হয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.