বিজেএস দিবেন যারা এবং এনভায়রনমেন্টাল ল যারা পড়ছেন বা পড়বেন, তাদের জন্য এই লিখা।
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন, এন্ড্রয়েড ফোনে টাইপ করেছি।
পরিবেশ আইন দুটোতে আলোচনার মত কিছুই পাইনি, তারপর ও পরীক্ষায় আসবে, এরকম কিছুই হাইলাইট করতে চেষ্টা করেছি।
#বাংলাদেশ_পরিবেশ_সংরক্ষণ_আইন_১৯৯৫
(১) এই আইনটি ২১ টি ধারা সম্বলিত ১৯৯৫ সালের ১ নাম্বার আইন।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য সরকার পরিবেশ অধিদপ্তর নামে একটি অধিদপ্তর স্থাপন করবে, যার প্রধান হবেন একজন মহাপরিচালক।
(৩) এই আইনে যে সকল বাধা নিষেদের কথা বলা আছে-
(ক) ক্ষতিকর ধোঁয়া সৃষ্টিকারী যানবাহন
(খ) ক্ষতিকর সামগ্রী উত্পাদন, বিক্রয় ইত্যাদি
(গ) পাহাড় কাটা
(ঘ) ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানী, মওজুদকরণ, বোঝাইকরণ, পরিবহণ
(ঙ) জাহাজ কাটা বা ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট দূষণ
(চ) জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ
(৪) আপীল আদালতে ৩০ দিনের মধ্য আপীল করা যায়, তবে আপীল দাখিলের জন্য অতিরিক্ত অনধিক ত্রিশ দিন সময় বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ ক্ষেত্রে।
(৫) আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা ৩০ দিন।
(৬) এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি উল্লেখ আছে ৫ বছর কারাদন্ড এবং ২০ লক্ষ টাকা
(৭) এই আইনের অধীন কোনো নির্দেশ লংঘনের ফলে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা জনগণ ক্ষতিপ্রস্থ হলে, তাদের পক্ষে মহাপরিচালক ক্ষতিপূরণের দাবীতে মামলা দায়ের করতে পারবেন।
#পরিবেশ_আদালত_আইন_২০১০
(১) এই আইনটি ২৪ টি ধারা সম্বলিত ২০১০ সালের ৫৬ নাম্বার আইন।
(১) যুগ্ম-জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচারক এই আইনের এখতিয়ারভুক্ত মামলাসমূহের বিচার করবেন।
(২) কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট বা ১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে তার সাধারণ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে দায়িত্ব পালন করবেন, যিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বছর কারাদন্ড বা, অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড বা কোন কিছু বাজেয়াপ্ত বা বিনষ্ট করার আদেশ দিতে পারেন।
(৩) পরিবেশ আইনের অধীন অপরাধসমূহ বিচারের জন্য স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হতে প্রাপ্ত মামলাসমূহ এই আইনের বিধান অনুসারে পরিবেশ আদালত বিচার ও নিষ্পত্তি করবে।
(৪) পরিবেশ আদালত কর্তৃক বিচারকার্য নিষ্পত্তির সময়সীমা ১৮০ দিন, ক্ষেত্রবিশেষ আরো ৯০ দিন,তবে কেনো শেষ করা যায় নি তা পরিবেশ আপীল আদালতকে ১৮০ দিন পার হওয়ার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্য অবহিত করতে হবে।
(৫) জেলাজজ পর্যায়ের একজন বিচারক নিয়ে গঠিত হবে পরিবেশ আপীল আদালত।
(৬) ফৌজদারি কার্যবিধিতেতে যাই থাকুক না কেনো,এই আইনের অধীন অপরাধসসমূহ আপোযোগ্য(শর্তসাপেক্ষ)।
#পরিবেশ_সংক্রান্ত_সংগঠন_কনভেনশন_চুক্তি_সম্মেলন_প্রটোকল_এবং_অন্যন্য
(১) UNEP (United Nations Environment Program)
-গঠিত হয় = ৫ জুন, ১৯৭২
-সদর দপ্তর = নাইরোবি, কেনিয়া
(২) IPCC (Intergovernmental Panel on Climate Change)
-এটি জাতিসংঘের একটি বিজ্ঞানসম্মত বডি যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মূল্যায়নে কাজ করে
-এটি UNEP ও WMO এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয়।
-গঠিত হয় = ১৯৮৮
-সদস্য সংখ্যা = ১৯৫
(৩) UNFCCC (United Nations Framework Convention on Climate Change)
-জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘের একটি 'রূপরেখা'
-১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত ১ম ধরিত্রী সম্মেলনে এটি স্বাক্ষরিত হয়
(৪) COP (Conference of the Parties)
-এটি UNFCCC এর সর্বোচ্চ কতৃপক্ষ।
-মোট পক্ষ = ১৯৬
-সাক্ষর করেছে = ১৬৮
(৫)স্টকহোম সম্মেলন
-১৯৭২ সালে বিশ্ব পরিবেশ বিষয়ে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়
-সেখানেই UNEP গঠিত হয়েছিলো
-৫ জুন কে 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' ঘোষণা
(৬) ১ম ধরিত্রী সম্মেলন
-১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়
-১৭২ টি দেশের ২৪০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেয়।
-Agenda-21 (৮০০ পৃষ্ঠাব্যাপী) নামক কার্যক্রম গৃহিত হয়
-সম্মেলনের 'রিও ঘোষণায়' (Rio Declaration) ২৭ টি নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত আছে
-জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘের রূপরেখা UNFCCC স্বাক্ষরিত হয়
(৭) ২য় ধরিত্রী সম্মেলন (রিও+৫)
-১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়।
(৮) হেগ সম্মেলন
-২০০০ সালে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে পরিবেশ বিষয়ক হেগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
(৯) ৩য় ধরিত্রী সম্মেলন (রিও+১০)
-২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ৩য় ধরিত্রী সম্মেলন (রিও+১০) বা 'বিশ্ব টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন' (World Summit on Sustainable Development) অনুষ্ঠিত হয়
-টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে এটিই প্রথম সম্মেলন
(১০) আবহাওয়া বিষয়ক সম্মেলন
-এটি ২০০৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত হয়।
(১১) কোপেনহেগেন সম্মেলন (কোপ-১৫)
-২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কোপ-১৫ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে
-উন্নত দেশগুলো একটি 'গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড' গঠনের অঙ্গীকার করে
-ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে ২০২০ সাল হতে
(১২) ৪র্থ ধরিত্রী সম্মেলন (রিও+২০)
-২০১২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার মূল নাম (United Nation Conference on Sustainable Development)
-ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ “কেমন পৃথিবী আমরা দেখতে চাই” (The future world that we want to see) নামক বক্তব্য পাঠ করে
-টেকসই উন্নয়নে 'প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো' তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়
-'সবুজ অর্থনীতি' (Green Economy) গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়
(১৩) ভিয়েনা কনভেনশন
-১৯৮৫ সালে গৃহীত, ওজোন স্তর সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিষয়ে
(১৪) বাসেল কনভেনশন
-১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডে গৃহীত, বিপজ্জনক বর্জ্য দেশের সীমান্তের বাইরে চলাচল এবং এদের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে
(১৫) মন্ট্রিল প্রটোকল
-কানাডার মন্ট্রিলে শহরে ওজোন স্তর বিনষ্টকারী দূষিত রাসায়নিক পর্দাথের নি:সরণ কমানো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়
-গৃহীত হয় = ১৯৮৭
-কার্যকর হয় = ১৯৮৯
-প্রটোকলটি কার্যকর হওয়ার পর এই পর্যন্ত মোট ৪ বার সংশোধিত হয়েছে
ক) লন্ডনে ১৯৯০ সালে
খ) কোপেনহেগেনে ১৯৯২ সালে
গ) মন্ট্রিলে ১৯৯৭ সালে
ঘ) বেইজিংয়ে ১৯৯৯ সালে
(১৬) UNFCCC
-এটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘের একটি রূপরেখা
-তৈরি হয় = ১৯৯২
-কার্যকর হয় = ১৯৯৪
-বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে = ১৯৯২, ৯ জুন
-বাংলাদেশ অনুমোদন করে = ১৯৯৪, ১৫ এপ্রিল
(১৭) জীব বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন
-স্বাক্ষরিত হয় = ৫ জুন, ১৯৯২
-কার্যকর হয় = ১৯৯৩ সালে
(১৮) কিয়োটো প্রটোকল
-জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়েটোতে বিশ্বের উষ্ণতা রোধ বিষয়ে এই প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়
-স্বাক্ষরিত হয় = ১৯৯৭, ১১ ডিসেম্বর
-কার্যকর হয় = ২০০৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি
-বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে = ২০০১, ২২ অক্টোবর
-বাংলাদেশ কার্যকর করে = ২০০৫, ১৬ ডিসেম্বর
-প্রটোকলটির মেয়াদ শেষ হবে = ২০২০ সালে (পূর্বের মেয়াদ ২০১২ + ৮ বত্সর বৃদ্বি)
(১৮) কার্টাগোনা প্রটোকল
-জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি কানাডার মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত হয়
-গৃহীত হয় = ২০০০
-কার্যকর হয় = ২০০৩
-বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে = ২০০০ সালে
-বাংলাদেশ কার্যকর করে = ২০০৪ সালে
(১৯) BELA( Bangladesh Environmental Lawyers Association)
-প্রতিষ্টাকাল = ১৯৯২
-প্রতিষ্ঠাতা = আইনজীবি মহিউদ্দিন ফারুক
-বর্তমান প্রধান নির্বাহী=সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
-২০০৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম ঘোষিত গ্লোবাল ৫০০ রোল অফ অনার্স পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের "পরিবেশ পুরস্কার"-এ ভূষিত হয় সংগঠনটি।
(২০) BAPA(Bangladesh Poribesh Andolon)
-প্রতিষ্ঠাকাল=২০০০
- প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি = আবুল মাল আব্দুল মুহিত
আশিক ই এলাহী ভূঁঞা
চট্টগ্রাম জজ কোর্ট।