আমি এখন বসে আছি সুবিদপুর গ্রামে, এটা মাধবপুর উপজেলায় হবিগঞ্জ জেলায় অবস্তিত। এখানে কীর্তন হচ্ছে। প্রতি বছরে শীতের কোন এক নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে এটা। তিনদিন ব্যাপী হওয়া এই অনুষ্টানে সব হিন্দু-ধর্মালম্বী মানুষ আসে। কীর্তন শুনে বসে বসে।
এসব কীর্তন করার জন্য অনেক দুর-দুরান্ত থেকে দল নিয়ে আসা হয়।
এখন যে দলটি কীর্তন করছে, সে দলের নাম "অষ্ট-সখী"! এই নামকরণের কারন হলো, এখানে আটজন মেয়ে মানুষ আছে। তাদের মধ্যে শুধু একজন হলো মধ্যবয়সী মহিলা। উনি হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। সম্ভবত দলনেত্রী।
বাকী সব মেয়ে গুলো সবাই কমবয়সী। ক্লাস ৭-৮ এর পড়ুয়া মেয়েদের মত ওরা।
আমি অবাক হয়ে গেলাম, ওদের গান আর বাদ্যযন্ত্র বাজানো দেখে! যে দুইটা মেয়ে কুল (ঢোলের মত) বাজাচ্ছে, তারা হয়ত ক্লাস ৬-৭ হবে বেশী হলে।
আরেকটা মেয়ে বেহালাবাদক এর ভুমিকা পালন করছে। অন্য মেয়েগুলো কীর্তন করছে খুবই স্বাভাবিক ভাবে।
এত অল্প বয়সী মেয়েগুলো এসব কীর্তন মনের আনন্দে করছে যে, সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে..
এত মানুষের সামনে এসব করাও অবশ্যই বড় একটি কাজ। আসলে কেউ যদি ঠিক মত প্রস্তুতি নেয় কোন কাজের জন্য, সেটাতে সাফল্য আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বয়স যে একটা সংখ্যা সেটা আবার বুঝতে পারলাম। অন্য দল গুলা যে কীর্তন করে গেসে তাদের বয়স প্রায় মাঝবয়সী.. বয়স হিসাব করলে সবগুলা মেয়ে হয়ত তাদের মেয়ে বা নাতনি বয়সী...
আমার ইচ্ছে ছিল.. আলাদা ভাবে.. ওদের দলনেত্রীর সাথে কথা বলার.. কিন্তু আমার সে পজিশন এখনো হয়নি.. সেটার উপর ভর করে উদের সম্পর্কে আরো কিছু জানতে পারি বা কিছু একটা করতে পারি...
শুভ রাত্রি
সুমন দেব
০২-০১-১৭